বিবাহ সাদী সম্পর্কে কুরআন হাদীস
📜 *বয়ান: “বিবাহ ইসলামের একটি পবিত্র সুন্নত”*
*বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।*
সম্মানিত মুসল্লী ভাইয়েরা!
আজকের আলোচনা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় নিয়ে—*বিবাহ বা সাদী* সম্পর্কে।
🕌 *ইসলামে বিবাহের গুরুত্ব*
বিবাহ হচ্ছে ইসলামি শরিয়তের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিধান এবং নবী করিম (সা.) এর সুন্নত।
আল্লাহ তা’আলা কুরআনে ইরশাদ করেন:
"তোমাদের মধ্যে যারা অবিবাহিত আছে, তাদের বিবাহ দাও...।"_
(সূরা নূর: ৩২)
নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন:-
“বিবাহ আমার সুন্নত। যে আমার এই সুন্নতকে অপছন্দ করে, সে আমার দলভুক্ত নয়।”_
(বুখারী)
বিবাহ মানুষকে পাপ-পথ থেকে রক্ষা করে, চরিত্রকে পবিত্র রাখে এবং একটি সুন্দর পরিবার ও সমাজ গঠনে সহায়তা করে।
💞 *বিবাহে লক্ষ্য কী হওয়া উচিত?*
আজকাল অনেকেই শুধু রূপ, অর্থ বা সামাজিক মর্যাদার ভিত্তিতে বিয়ে করে থাকে। কিন্তু রাসুল (সা.) বলেছেন:
“নারীকে বিয়ে করা হয় চারটি বিষয়ে—সম্পদ, বংশ, সৌন্দর্য এবং দ্বীনের কারণে। তবে তুমি সেই নারীকে বিয়ে করো, যার মধ্যে দ্বীনদারী আছে—তাহলে তুমি সফল হবে।”_
(সহীহ বুখারী)
🔸 দ্বীনদার পাত্র-পাত্রীর সন্ধান করা
🔸 যৌতুক মুক্ত ও সহজ-সরল বিবাহ
🔸 নবীজীর সুন্নতি পদ্ধতিতে বিয়ে করা — এসবই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।
🌹 বিবাহ শুধু সামাজিক বন্ধন নয়, বরং ইবাদত!
বিবাহের মাধ্যমে একজন পুরুষ ও একজন নারী হালাল সম্পর্ক স্থাপন করে, যা তাদের জন্য পূণ্যস্বরূপ। স্বামী-স্ত্রীর একে অপরকে সাহায্য করা, ভালোবাসা, ইজ্জত ও দায়িত্ব পালন—সবই ইবাদতের শামিল।
পরিশেষে:-
প্রিয় ভাইয়েরা,
আমরা যেন আমাদের সমাজে সুন্নতি পদ্ধতিতে সহজ ও পবিত্র বিবাহ প্রথা চালু করি। যৌতুক, বিলাসিতা, অপচয়—এসব থেকে দূরে থাকি।
দ্বীনদার পাত্র-পাত্রী নির্বাচন করে একটি শক্তিশালী ও নেককার পরিবার গড়ে তুলি।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে হালাল পথে জীবন গঠনের তাওফিক দান করুন। আমিন।